想做金银花盆景?手把手教你制作和养护技巧!
খেয়াল করলাম বাড়ির পেছনের বাগানে একটু জায়গা খালি পড়ে আছে। ভাবলাম, এখানে কিছু একটা লাগানো যায়। তখনই মাথায় এলো, একটা 金银花 গাছ লাগালে কেমন হয়? শুধু দেখতে সুন্দর না, শুনেছি এর অনেক ঔষধি গুণও আছে। ব্যস, লেগে পড়লাম 金银花 গাছ লাগানোর মিশনে।
গাছ খোঁজা
প্রথমে গেলাম নার্সারিতে। উদ্দেশ্য, একটা ভালো চারা জোগাড় করা। কিন্তু কয়েকটা নার্সারি ঘুরেও মনমতো চারা পেলাম না। কোনোটা খুব ছোট, কোনোটা রোগাক্রান্ত। হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরলাম।
অনলাইনে চেষ্টা
তখন ভাবলাম, অনলাইন ঘেঁটে দেখি কিছু পাওয়া যায় কিনা। খুঁজতে খুঁজতে একটা ফেসবুক গ্রুপ পেলাম, যেখানে অনেকে গাছের চারা কেনাবেচা করে। সেখানে দেখলাম, একজন 金银花 গাছের চারা বিক্রি করছেন। ছবি দেখে পছন্দ হলো, দামেও পোষালো। চটজলদি অর্ডার করে দিলাম।

চারা এল, শুরু হলো আসল কাজ
কয়েকদিন পর চারাটা হাতে পেলাম। বেশ তরতাজা দেখতে। এবার আসল কাজ শুরু। প্রথমে জায়গাটা ভালো করে পরিষ্কার করলাম। আগাছা, আবর্জনা সরিয়ে মাটি আলগা করলাম। মাটিটা একটু শক্ত ছিল, তাই কিছু জৈব সার মিশিয়ে দিলাম।
রোপণ পর্ব
মাটি তৈরি হয়ে গেলে চারাটা বসালাম। বেশি গভীরে পুঁতলাম না, যাতে শিকড় ঠিকমতো ছড়াতে পারে। চারপাশে মাটি দিয়ে ভালো করে চেপে দিলাম। তারপর দিলাম পানি।
গাছ লাগানোর পর:
- প্রথম কয়েকদিন একটু ছায়াযুক্ত জায়গায় রেখেছিলাম, যাতে চারাটা নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে।
- নিয়মিত পানি দিয়েছি, তবে খেয়াল রেখেছি যাতে গোড়ায় পানি না জমে।
- কিছুদিন পর দেখলাম, নতুন পাতা গজিয়েছে। দেখে কী যে আনন্দ হলো!
বেড়ে ওঠা
ধীরে ধীরে গাছটা বাড়তে লাগলো। লতানো গাছ, তাই একটা বাঁশের কঞ্চি পুঁতে দিলাম, যাতে সেটা বেয়ে উঠতে পারে। কয়েক মাসের মধ্যে বেশ ঝোপালো হয়ে গেল। ফুলও ফুটলো। সাদা আর হালকা হলুদ রঙের ফুল, মিষ্টি একটা গন্ধ।
ফাইনাল টাচ - টবে স্থানান্তর
গাছটা যখন আরেকটু বড় হলো, তখন ভাবলাম টবে লাগালে কেমন হয়? বারান্দায় রাখলে দেখতেও ভালো লাগবে, আবার যখন খুশি সরানোও যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। একটা বড়সড় টব জোগাড় করলাম। যত্ন করে গাছটা তুলে টবে বসালাম। এখন ওটা আমার বারান্দার শোভা বাড়াচ্ছে।
এই ছিল আমার 金银花 গাছের বেড়ে ওঠা। গাছটা লাগানোর পর থেকে আমার বাগানে অন্যরকম একটা প্রাণ এসেছে। যখন দেখি গাছটা ফুলে ফুলে ভরে আছে, মনটা খুশিতে ভরে ওঠে।
