想知道青蒿和艾草的区别?青蒿与艾草的区别图片一看便知!
খেয়াল করলাম আমার বাড়ির আশেপাশে না, এই যে এতো এতো গাছপালা, তার মধ্যে কোনটা যে কী গাছ, সেটাই আলাদা করতে পারছিলাম না। আচ্ছা, ঘাস বাদ দিলাম, ঘাস তো সবাই-ই চেনে। কিন্তু এই যে এতো ঝোপঝাড়, তার মধ্যে কোনটা যে কোনটা, সেটাই তো বুঝতে পারছিলাম না। তখনই মাথায় এল, আরে! এই দুটো জিনিস তো ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি—একটা হল গিয়ে “আই” আর অন্যটা “পুই”—কিন্তু এদেরকে আলাদা করব কীভাবে?
মাঠে নেমে হাতে-কলমে পার্থক্য খোঁজা
প্রথমে ভাবলাম, বই-টই ঘেঁটে দেখি। কিন্তু তাতে কি আর সাধ মেটে? তাই নিজেই মাঠে নেমে পড়লাম। প্রথমে গেলাম বাড়ির পাশের বাগানে, যেখানে আমার মা যত্ন করে গাছ লাগিয়েছেন।
- পাতার গড়ন: প্রথমেই চোখে পড়ল পাতার গঠনে। আরে, এত্তো সহজ! আই-এর পাতাগুলো কেমন যেন লম্বাটে, ছুঁচালো মতো। আর পুই-এর পাতাগুলো গোলগাল, একটু যেন ঢেউ খেলানো।
- গন্ধ: এরপর একটু পাতা ছিঁড়ে শুঁকে দেখলাম। আই-এর পাতা থেকে একটা সুন্দর মিষ্টি গন্ধ বেরোচ্ছে, অনেকটা ধূপকাঠির মতো। আর পুই-এর পাতায় তেমন কোনো গন্ধ নেই, কেমন যেন একটা কাঁচা কাঁচা গন্ধ।
ক্যামেরাবন্দী করা
শুধু কি আর চোখে দেখেই সাধ মেটে? তাই চটপট মোবাইলটা বের করে কয়েকটা ছবি তুলে রাখলাম। ভাবলাম, পরে মিলিয়ে দেখতে সুবিধা হবে। আর হ্যাঁ, ছবিগুলো আপনাদের সঙ্গেও শেয়ার করলাম, যাতে আপনারাও তফাৎটা চট করে বুঝে যেতে পারেন।

ছবি তোলার সময় খেয়াল করলাম, আই গাছটা কেমন যেন একটু ঝোপালো মতো, ডালপালাগুলো চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। আর পুই গাছটা কেমন যেন সোজা, লতানো টাইপের।
মানুষের সাথে কথা বলে জানা
ছবি তো তুললাম, অভিজ্ঞতাও হল। ভাবলাম, দেখি তো, আশপাশের লোকজন কী বলে! কয়েকজনের সাথে কথা বলে বুঝলাম, শুধু আমি একাই না, অনেকেই দেখি এই দুটো জিনিস গুলিয়ে ফেলে। তবে, যারা বয়স্ক মানুষ, যাদের ছোটবেলা কেটেছে গ্রামে, তারা কিন্তু ঠিকঠাক চিনতে পারলেন।
তাদের কাছ থেকে আরও কিছু মজার তথ্য জানতে পারলাম। যেমন, আই নাকি ওষুধ বানানোর কাজে লাগে, আর পুই তো রান্না করে খাওয়া যায়।
সবশেষে, একটা সহজ হিসাব
সব মিলিয়ে, আমার এই ছোট্ট অভিযানটা বেশ মজার ছিল। এখন আমি অন্তত আই আর পুই গাছ দুটোকে আলাদা করতে পারব। আর হ্যাঁ, এখন থেকে যখনই কোনো নতুন গাছের সামনে পড়ব, চেষ্টা করব সেটাকে চিনে নেওয়ার। কে জানে, হয়তো এভাবেই একদিন গাছপালার ব্যাপারে এক্সপার্ট হয়ে যাব!
