水杉盆景养殖方法揭秘,教你养出漂亮小水杉!
খেয়াল আছে গত বছর আমার এক বন্ধুর জন্মদিনে ওরে আমি একটা গাছ উপহার দিছিলাম। বন্ধু আমার গাছ খুব পছন্দ করতো, তাই ভাবলাম এইবার না হয় একটু অন্যরকম কিছু দেই। যেই ভাবা সেই কাজ, খোঁজ লাগাইলাম কই ভালো বনসাই পাওয়া যায়। খুঁজতে খুঁজতে শেষমেশ নার্সারি থেইকা একটা সুন্দর মত জলপাই বনসাই কিনে আনলাম।
তখন তো কিনে আনলাম ঠিকই, কিন্তু পরে বুঝলাম এইটারে বাঁচায় রাখতে ভালোই কাঠখড় পোড়াইতে হইবো। সেই শুরু হইলো আমার বনসাই নিয়া পড়াশোনা। যাই হোক, সেইখান থেইকা যা শিখছি আর নিজে যা যা করছি, সেইগুলাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করমু।
কিভাবে শুরু করলাম
বনসাইটা কিনার পরে প্রথম কাজ হইলো, এইটার জন্য একটা ভালো টব কিনা। আমি একটু হিসাব কইরাই কিনছিলাম, ভাবলাম যে নার্সারির প্লাস্টিকের টবে তো আর রাখা যাইবো না। তাই একটু মাঝারি সাইজের, দেখতে সুন্দর আর যেইটাতে পানি জমবো না, সেইরকম একটা মাটির টব কিনলাম।

এরপর গেলাম মাটি খুঁজতে। নার্সারির লোকজনের সাথে কথা বলে বুঝলাম, যেই মাটিতে পানি জমবো, সেইটা ব্যবহার করা যাইবো না। তাই ওরা কইলো, যেই মাটিটা ঝুরঝুরে সেইটা ব্যবহার করতে।
আমি আবার একটু চালাকি করলাম, যেইটা নার্সারির লোকেরা বলে নাই। ভাবলাম, মাটি তো বানাইতেইছি, তাইলে একটু বাড়তি পুষ্টি দিলে সমস্যা কি? যেই ভাবা সেই কাজ! যেই মাটিটা বানাইলাম, সেইটার মধ্যে দিলাম, একটু পুরনো পাতা পচা সার, কিছু ইটের গুঁড়া, আর তার সাথে দিলাম নদীর বালি মাটি।
পানি দেওয়া ও আলো বাতাস
এইবার আসি পানি দেওয়ার ব্যাপারে। পানি দেওয়ার সময় একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হয়, মাটিটা যাতে বেশি ভেজা না থাকে আবার একেবারে শুকনাও না থাকে। আমি করতাম কি, আঙ্গুল দিয়ে মাটিটা একটু চেপে দেখতাম। যদি দেখতাম উপরের মাটি শুকনা, তখনই পানি দিতাম। তাও বেশি না, অল্প কইরা।
বনসাইটা রাখছিলাম আমার বারান্দায়, যেইখানে আলো বাতাস দুইটাই ভালোমতো পায়। সকালে যেই রোদটা আসে, সেইটা গাছের জন্য খুব দরকারি।
সার ও অন্যান্য যত্ন
গাছটা যখন একটু বড় হইতে থাকলো, তখন ভাবলাম এইটারে একটু সার দেওয়া দরকার। বাজারে গেলাম, কিন্তু রাসায়নিক সার আমার পছন্দ না। তাই খোঁজ কইরা জৈব সার কিনলাম। মাসে একবার কইরা অল্প একটু সার দিতাম, গাছের গোড়ার চারপাশে।
কিছুদিন পর দেখলাম, গাছের কয়েকটা ডালপালা কেমন জানি রোগা রোগা লাগতেছে, পাতাগুলোও কেমন জানি ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। আবার গেলাম নার্সারিতে, ওরা বললো পোকা ধরছে। ওদের কথামতো নিমপাতা দিয়া কি জানি বানাইয়া স্প্রে করলাম, কয়েক দিনেই ঠিক হইয়া গেলো।

ডালপালা ছাঁটাই
বনসাই তো আর এমনি এমনি সুন্দর হয় না, এইটার জন্য একটু ছাঁটাই করা লাগে। যেই ডালপালাগুলা বেশি বাইড়া যাইতো, সেইগুলা সাবধানে কাইটা দিতাম। আবার যেইগুলা শুকনা বা রোগা ছিল, সেইগুলাও বাদ দিতে হইলো।
শেষ কথা
এইভাবে প্রায় এক বছর গাছের যত্ন নেওয়ার পর দেখলাম, আমার সেই ছোট্ট জলপাই গাছটা এখন বেশ সুন্দর একটা বনসাই হয়ে গেছে। এখন দেখলে আর মনেই হয় না, এইটা আমি এক বছর আগে নার্সারি থেকে কিনছিলাম।