盆栽樱桃树怎么养护?掌握这些要点果子结满枝!
খেয়ালটা হুট করেই এলো। ভাবলাম, বারান্দায় এক কোণে যদি একটা ছোট্ট টবে চেরি গাছ লাগানো যায়, মন্দ হয় না। যেই ভাবা সেই কাজ, লেগে পড়লাম চেরি গাছ লাগানোর মিশনে।
গাছ নির্বাচন ও টব প্রস্তুতকরণ
প্রথমে নার্সারি থেকে একটা ভালো জাতের চেরি গাছের চারা কিনলাম। দোকানি বুঝিয়ে দিল, কোন জাতের গাছ টবে ভালো হবে। আমি মাঝারি আকারের একটা চারা নিলাম।
বাড়িতে এসে গাছ লাগানোর জন্য একটা বড়সড় টব নিলাম। মাটির টব ব্যবহার করাই ভালো, কারণ এতে বাতাস চলাচল করতে পারে। টবের নিচে কয়েকটা ফুটো করে দিলাম, যাতে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যেতে পারে।

মাটি তৈরি ও চারা রোপণ
এবার মাটি তৈরির পালা। দোঁআশ মাটি আর গোবর সার মিশিয়ে টবের জন্য মাটি তৈরি করলাম। নার্সারি থেকে আনা মাটি ব্যবহার করলেও হবে।
টবের মধ্যে কিছু শুকনো পাতা আর নুড়ি পাথর দিয়ে দিলাম। এরপর সার মেশানো মাটি দিয়ে টবটা ভর্তি করলাম। তারপর টবের মাঝখানে গর্ত করে চারাটা আস্তে করে বসালাম। খেয়াল রাখলাম, চারার গোড়া যেন বেশি মাটির নিচে না যায়।
পানি দেওয়া ও যত্নআত্তি
চারা বসানোর পর টবে ভালো করে পানি দিলাম। প্রথম কয়েকদিন নিয়মিত পানি দিয়েছি, তবে খেয়াল রেখেছি, গোড়ায় যেন পানি না জমে।
গাছটাকে বারান্দার এমন জায়গায় রাখলাম, যেখানে আলো-বাতাস পায়, কিন্তু সরাসরি কড়া রোদ যেন না লাগে। কিছুদিন পর পর গাছের গোড়ার মাটি হালকা করে খুঁচিয়ে দিয়েছি।
সার প্রয়োগ ও অন্যান্য পরিচর্যা
- সার প্রয়োগ: মাসে একবার করে জৈব সার দিলাম। বাজার থেকে কেনা তরল সারও ব্যবহার করা যায়।
- ছাঁটাই: গাছের মরা ডালপালা নিয়মিত ছেঁটে দিয়েছি।
- পোকামাকড়: গাছে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব হলে নিমপাতা সেদ্ধ পানি স্প্রে করেছি।
ফল প্রাপ্তি
নিয়মিত যত্ন করার পর, প্রায় এক বছরের মাথায় গাছে ফুল আসতে শুরু করলো। দেখে তো আমি মহাখুশি! কিছুদিন পরেই ছোট ছোট সবুজ চেরি ফল দেখা গেল। আস্তে আস্তে সেগুলো বড় হলো, রং ধরলো। আহা, নিজের গাছের টাটকা চেরি, ভাবতেই অন্যরকম আনন্দ!
গাছ লাগানোর শখটা আমার অনেক দিনের। তবে, এবার চেরি গাছ লাগিয়ে যেন একটু বেশিই তৃপ্তি পেলাম। নিজের হাতে লাগানো গাছের ফল, তার স্বাদই আলাদা। আপনারাও চাইলে এভাবে টবে চেরি গাছ লাগাতে পারেন। দেখবেন, মনটা খুশিতে ভরে উঠবে!
